Custom Search

Tuesday, April 20, 2010

শেয়ারবাজারে স্বস্তির সুবাতাস

বেশ কয়েক দিনের টানা দরপতনের পর অবশেষে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেয়ারবাজার। সোমবার দেশের দুই বাজারেই সব ধরনের সূচক হয়ে ওঠে ঊর্ধ্বমুখী। এদিন লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বেড়েছে মূল্যসূচক ও লেনদেনের পরিমাণ। ফলে সোমবার বাজারে ছিল স্বস্তির সুবাতাস। কিছুদিন পর ব্যাংক ও আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানের দর বৃদ্ধিতে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা উজ্জীবিত হয়েছে। আগের তিন দিন একটু একটু করে লেনদেন বাড়ায় তা বিনিয়োগকারীদের আস্থাকে কিছুটা মজবুত করেছে, যা সাইডলাইনে থাকা অনেক বিনিয়োগকারীকে আবার সক্রিয় করেছে। অন্যদিকে ব্যাংকের শেয়ারের দাম বাড়ায় মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকার থেকে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন এমন অনেক বিনিয়োগকারীর ক্রয়ক্ষমতা (পারচেজ পাওয়ার) বাড়িয়েছে। খুলনা পাওয়ারের শেয়ারে বিনিয়োগের জন্য যারা এর আগে বাজার থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করেছিলেন তাদের কেউ কেউ ওই অর্থ আবার বাজারে নিয়ে এসেছেন। এসব কারণে লেনদেন ও শেয়ারের দরে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আগের দিনের মতো গতকালও শেয়ারবাজারে লেনদেন ও দর বৃদ্ধিতে ব্যাংক এবং নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাধান্য ছিল। অন্যদিকে টানা কয়েক দিনের দরপতনের পর সোমবার গ্রামীণফোনের শেয়ার মূল্য বৃদ্ধিতে ফিরে এসেছে। এসব কারণে সোমবার মূল্যসূচক উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। গতকালের সূচক নির্ধারণে রোববার অভিষিক্ত খুলনা পাওয়ারকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ সূচকের বড় উল্লম্ফনে এটিও ভূমিকা রেখেছে।
সোমবার ডিএসইতে ২৪৫টি কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৭৫টির দাম বেড়েছে, কমেছে ৬৩টির দাম। সাতটি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত। ডিএসইতে সাধারণ সূচক বেড়েছে ৬১ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট। দিন শেষে এ সূচকের অবস্থান ছিল ৫ হাজার ৫২৯ দশমিক ৫ পয়েন্ট। ডিএসইতে এদিন ৯৬৭ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। লেনদেনের পরিমাণ ছিল আগের দিনের চেয়ে ৫৬ কোটি টাকা বেশি।
গত কয়েক দিনের মতো গতকালও ডিএসইতে লেনদেনে সবার শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। এর লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৮০ কোটি টাকা। অন্যদিকে বেশ কিছুদিন পর দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা গ্রামীণফোনের শেয়ার কেনাবেচার পরিমাণ ছিল ৪০ কোটি টাকা। লেনদেনে শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে ছিল প্রিমিয়ার ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, প্রাইম ফিন্যান্স, ডেসকো, সামিট পাওয়ার, লংকাবাংলা ফিন্যান্স ও আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক।
ডিএসইতে এদিন ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ দর বৃদ্ধি নিয়ে দর বৃদ্ধিতে সবার ওপরে ছিল ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এর পরই ছিল যথাক্রমে সন্ধানী লাইফ, উত্তরা ব্যাংক, মেট্রো স্পিনিং, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, পপুলার লাইফ, গ্গ্নোবাল ইন্সুরেন্স, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স ও প্রথম প্রাইম ফিন্যান্স মিউচুয়াল ফান্ড।
ডিএসইতে এদিন সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে মডার্ন ইন্ডাস্ট্রিজ, যার হার ১২ দশমিক ৭ শতাংশ। দর হ্রাসে এর পরই ছিল যথাক্রমে জেমিনি সি ফুড, সিএমসি কামাল টেক্সটাইল, স্টাইল ক্রাফট, কাশেম সিল্ক, তাল্লু স্পিনং, বঙ্গজ, মুন্নু স্টাফলার, প্রাইম ফিন্যান্স ও ডিবিএইচ।
সিএসইতে সোমবার ১৭৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৪টির, কমেছে ৪৫টির দাম। চার কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত। সিএসইতে সার্বিক সূচক বেড়েছে ২১০ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট। এদিন সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৮৮ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ১২ কোটি টাকা বেশি। 


তথ্যসূত্রঃ সমকাল 

0 comments:

Post a Comment

Note: Only a member of this blog may post a comment.

 
Copyright 2009 BANGLADESH SHARE MARKET. Powered by Blogger Blogger Templates create by Deluxe Templates. WP by Masterplan